আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

র‌্যাবের অভিযানে পোশাক চোর গ্রেফতার

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান হতে অভিনব কায়দায় পোশাক চুরি করার সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৮ জন সক্রিয় সদস্যকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ জয়নাল আবেদীন (৪০), মোঃ মাসুম বিল্লাহ (২৭), মোঃ রিয়াজ (২৮), মোঃ আহাম আলী (৪৫), মোঃ জমির আলী (৬৫), মোঃ মোশারফ হোসেন (৪০), মোঃ দিদারুল আলম (২৮), মোঃ রাশেদ (২৬)। শুক্রবার ৫ মার্চ রাত ১০ টায় কুমিল্লার চান্দিনা থানাধীন কাশিমপুর বাগুসি এলাকার মোঃ আবুল কালাম শামীম এর বড় গোডাউন ঘরের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকসহ ১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।

শনিবার র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সিপিএসসি, আদমজীনগর) মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তিনি জানান গাজীপুর জেলার বাসন থানাধীন টেলিপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত আলফা ড্রেসওয়্যার লিঃ ফ্যাক্টরীর রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র চুরি করার উদ্দেশ্যে চান্দিনার কাশিমপুর বাগুসি সাকিনস্থ মোঃ আবুল কালাম শামীম এর বড় গোডাউন ঘরের ভিতরে কাভার্ডভ্যান ঢুকিয়ে সিলগালা অক্ষত রেখে বিশেষ কৌশলে দরজা খুলে তারা মোড়ককৃত কার্টুনগুলো নিচে নামিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে ফেলে। এই চোরচক্র কাভার্ডভ্যানের অসাধু চালক ও হেলপারের পরস্পর যোগসাজশে শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা পোশাকভর্তি কার্টুন খুলে অভিনব কায়দায় প্রতিটি কার্টুন হতে ১০ থেকে ২০টি করে পোশাক চুরি করে আত্মসাৎ করার সময় র‌্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকভর্তি ১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধারসহ উল্লিখিত আসামীদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তারা একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে চুরি করে আসছে। এসকল চুরির ফলে গার্মেন্টস মালিকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতো এবং চাহিদা ও অর্ডার অনুযায়ী শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতাদের নিকট দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা সংঘবদ্ধ চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। ভবিষ্যতে এই সংঘবদ্ধ চোরাইচক্রের পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের গোপন অনুসন্ধান ও কঠোর নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।